বহিরাগত সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগে শূণ্যপদ পূরণে অপেক্ষমান তালিকা দিন
আসাদুজ্জামান মিলন: বাংলাদেশ পুলিশের বহিরাগত ক্যাডেট এস.আই (নিরস্ত্র) নিয়োগ ২০১৯ পরীক্ষায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থীর মধ্যে শারীরিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমরা ৪ হাজার ১ শ’ ২৫ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হই। তার মধ্যে সিলেকশন বোর্ড গত ৯ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৪ শ’ত ২ জনকে সাময়িক ভাবে সুপারিশ করেছেন। মেডিক্যাল ও পুলিশ ভেরিফিকেশনে ৯৫ জন প্রার্থী বাদ পড়ে যায়। চূড়ান্তপর্যায়ে নিয়োগ দিতে বাকি ১৩০৭ জনকে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য মনোনীত করেন কর্তৃপক্ষ।
বিগত বছরগুলোর চূড়ান্ত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ১৫০/২০০ জনের মত প্রার্থী বাদ পড়ে যায় পুলিশের এ নিয়োগে। গত ৩৭ তম বহিরাগত ক্যাডেট (এস.আই) নিয়োগে ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ হাজার জনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মেডিকেল রিপোর্টে বাদ পড়ে যায় ৮৬ জন। পরে ১৯১৪ জনকে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত পুলিশ একাডেমিতে ১৯১৪ জনকে পাঠায় নিয়োগ কমিটি। পরে বিভিন্ন চাকুরিতে চলে যায় আরো ১৫৫ জন। যেকারনে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোট ২৪১ জন ভেরিফিকেশন রিপোর্ট, মেডিকেল ও অন্যান্য চাকুরিতে যোগ দেওয়ায় ২৪১ জনের পদ শূণ্য হয়ে যায়। আবার ৩৬ তম বহিরাগত ক্যাডেট (এস.আই) নিয়োগেও প্রায় ১৮৮ জনের কেউ সাব-ইন্সপেক্টর পদে জয়েন করেনি। হিসেব মতে বছর শেষে প্রায় শ’দুয়েক প্রার্থী বাদ পড়ে যায় পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।
এদিকে বেশ কয়েকটি সরকারি ব্যাংক ও দপ্তরে বিভিন্ন পদের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। খুব শীঘ্রই ৩৮তম বি.সি.এস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এসকল পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে মনোনীত হলে অনেকেই বাংলাদেশ পুলিশের এই পদে যোগদানে অপারগতা প্রকাশ করবে। আর তাদের এই অপরাগতায় বাংলাদেশ পুলিশের এস.আই পদে কাঙ্খিত জনবল নিয়োগে প্রায় শ’দুয়েক শূণ্য পদ সৃষ্টি হচ্ছে।
উল্লেখিত বিষয় বিবেচনা করে বেকার সমস্যা দূরীকরণে এসকল অযোগ্য এবং অনিচ্ছুক প্রার্থীর বিপরীতে সৃষ্ট শূণ্যপদ পূরণে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করে সেখান থেকে সুপারিশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।